হাসনাইন আহমেদ , কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তায় বাস সার্ভিস‚ বাইক সার্ভিস‚ খাবার ও মডেল টেস্টসহ বিভিন্ন সহায়তা কেন্দ্র নিয়ে পরীক্ষার্থীদের পাশে ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির।
শনিবার( ১৯ এপ্রিল) ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা তারা সেবা প্রদান করে থাকেন। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য জুলাই আন্দোলনের ছয়জন শহীদের নামে বিশেষ তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির কুবি শাখা।
জানা যায়, ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের শহীদ আবু সাইদ, শহীদ মীর মুগ্ধ, শহীদ আব্দুল কাইয়ুম, শহীদ ওয়াসিম, শহীদ আলী রায়হান ও শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র নামে তথ্য কেন্দ্রগুলোর নামকরণ করা হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোটবাড়ি অঞ্চলের আশেপাশের কেন্দ্রগুলোতে তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। তথ্য কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার সিট প্ল্যানিং ও গন্তব্য নির্দেশনা ভাড়া সচেতনতা ও জরুরি তথ্য প্রদান করা হয়। এছাড়াও খাবার পানি, কলম বিতরণ গার্ডিয়ান লাউঞ্জ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা র ব্যবস্থা করা হয়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ইমার্জেন্সি যাতায়াতের জন্য বাইক সার্ভিস ও রাতে নিরাপত্তা ও যাতায়াতের জন্য বাস সার্ভিসেরও ব্যবস্থা করে দলটি।
চট্টগ্রাম থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তাসনিম জারা বলেন‚ ‘ছাত্রশিবিরের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমি আমার বাবাকে নিয়ে এসেছিলাম‚ তাদের সহায়তায় বাবাকে লাউঞ্জে রেখে পরীক্ষা দিতে পেরেছি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে জুলাই শহীদদের নামে এই সেবা কেন্দ্রের নামকরণ।’
আবু রায়হান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন‚ ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে প্রথমবার জানলাম‚ এখানেও জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন। আমার মনে হয় ছাত্রশিবিরের মাধ্যমে ইতিহাসটা অনেকেই জানতে পেরেছে।’
ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী বলেন‚ ‘জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগকে ধারন করেই এই উদ্যোগ। তবে আমরা কোনো দলীয় বিষয়কে বিবেচনা করিনি। এছাড়াও এই বিষয়টিও বলতে চাই যে, কোনো শহীদ ছোট কিংবা বড় নয়। জুলাই বিজয় সবার। তবে যে কয়েকজন শহীদ হওয়ার পর আন্দোলনের মোড় ঘুরে গেছে তাদের মধ্যে আবু সাঈদ, ওয়াসিম অন্যতম। তাদের নামে তথ্য কেন্দ্রের নামকরন করা হয়েছে। জুলাইকে ধারন করার পাশাপাশি আমাদের তথ্য কেন্দ্রের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।’
প্রসঙ্গত‚ এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে দূরপাল্লার শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসার জন্য কয়েকটি বাস সার্ভিস দিয়ে থাকেন।
Leave a Reply