কুমিল্লা প্রতিনিধি
বিগত এক বছর চার মাস ধরে কুমিল্লা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন শরীফুল ইসলাম। এই কর্মকর্তাকে জড়িয়ে দূর্ণীতি, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে কয়েকটি মিডিয়ায় অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছে কর্মকর্তা শরীফুলের আত্মীয় স্বজনরা।
এ ঘটনায় অনুসন্ধান করতে গিয়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের বিপরীত চিত্র পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানান, ইন্সপেক্টর শরীফুল ইসলাম কুমিল্লায় যোগদানের পর তার নেতৃত্বে প্রায় ৬ শতাধিক মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বেশি মাদক জব্দ করা হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, ইন্সপেক্টর শরীফুল ইসলামকে মাদকাসক্ত বলে অপপ্রচার করা হলেও তিনি কখনো ধূমপানও করেননি ।
জানা যায়, কারো সহায়তা ছাড়া নিজ যোগ্যতায় এই অধিদপ্তরের চাকুরীতে যোগদান করার পর থেকে সততার সহিত নৈতিকতার দিক থেকে অটল ছিলেন এই কর্মকর্তা। মাদকের বিষয়ে কখনো আপোষ করেননি শরীফুল ইসলাম। ইসলামি ধার্মিক পরিবার থেকে উঠে আসা এ কর্মকর্তা অনিয়ম, দূর্ণীতির সাথে কখনো আপোষ করেননি।
ব্যক্তি জীবনে অনৈতিক কর্মকান্ডে কখনো জড়াননি তিনি। পারিবারিকভাবে একটি ভুল বুঝাবুঝির মিমাংসাকৃত বিষয় ও আদালতের বিচারাধীন বিষয়কে ইস্যু করে নানা অপবাদ দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি অপগোষ্ঠী। এমন অভিযোগকে নিন্দনীয়, মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর শরীফুল ইসলাম জানান, আমি আমার কর্মরত জীবনে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। নৈতিকতার প্রশ্নে আমি সব সময় অটল অবিচল আছি। একটি বিশেষ মহলের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে আপোষ করিনি বিধায় এত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি আমার অবস্থানে সৎ রয়েছি। কর্মক্ষেত্রে কোন ভুল আমি করিনি। অপপ্রচার নিয়ে আমি শংকিত নই, কারণ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবেন।
Leave a Reply