ডেস্ক রিপোর্ট:
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কৃষি খাতের উন্নয়ন ধরে রাখতে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। গুণগত গবেষণা করে তার ফলাফল কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
রবিবার রাজধানীর ফার্মগেটে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন ও পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প নেওয়ার সময় কৃষিজমি সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। কোনোভাবেই যেন স্থাপনা নির্মাণের জন্য কৃষিজমি নষ্ট না হয়।’
তিনি কৃষি খাতের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত কৃষি খাতই সবচেয়ে সফল। আমাদের জমির পরিমাণ বাড়বে না, কিন্তু জনসংখ্যা বাড়তেই থাকবে। তাই কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমাদের তেল, ডাল, ছোলা ইত্যাদি আমদানি করতে হয়। দেশে উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানির পরিমাণ কমাতে হবে। কৃষকরা সাধারণত যে ফসলে বেশি লাভ পান, সেই ফসল চাষ করেন। তবে অপ্রচলিত কিন্তু প্রয়োজনীয় ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।’
পার্বত্য অঞ্চলে ফলজ গাছ লাগানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘বনায়নের পাশাপাশি ফলদ গাছও লাগাতে হবে।’
বাজারে সবজির দাম প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন সবজির মৌসুম থাকে না বা এক মৌসুম থেকে অন্য মৌসুমের মধ্যবর্তী সময়ে সবজির দাম বেড়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে শাকসবজি ও ফলমূল সংরক্ষণের জন্য স্বল্প ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হিমাগার তৈরি করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি খাতের অবদানের তুলনায় এর স্বীকৃতি ও পুরস্কার কম। কৃষি ও কৃষকের কথা বলতে হবে। এই খাতকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।’
Leave a Reply