স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় জমি বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩১ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ইয়ামিন নাহার (৩২) উক্ত ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম তৌহিদুল ইসলাম (৪২)। তিনি কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ অনুযায়ী, বিবাদীদের সঙ্গে নিহত ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে ২০ থেকে ২৫ জন সিভিল পোষাকধারী লোক তৌহিদুলের বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা তৌহিদুল ইসলামকে জোরপূর্বক অপহরণ করে এবং বাড়ির বিভিন্ন ঘর তল্লাশি চালায়। পরে তারা তৌহিদুল ইসলাম ও এক সাক্ষীকে নিয়ে চলে যায়।
সকাল আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটে বিবাদীরা আহত অবস্থায় সাক্ষীকে ছেড়ে দেয়, কিন্তু তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে পুনরায় চলে যায়। এরপর নিহত ব্যক্তির পরিবার তাকে খুঁজতে থাকে। আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ নিহত ব্যক্তির ভাসুরকে ফোন করে জানায়, গোমতি নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় তৌহিদুল ইসলামকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে দুপুর আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে ডাক্তার তৌহিদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির শরীরে অসংখ্য নীলাচুলা ও কালচে দাগ দেখা গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। পরিবার লাশ নিয়ে দাফন-কাফন সম্পন্ন করে।
ইয়ামিন নাহার তার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের জন্য ৬ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন: সাইফুল ইসলাম (৪৫), তানজিল উদ্দিন (৩৫), নাজমুল হাসান টিটু (৩০), সহ (৩৫), সাইদুল হাসান সবুজ (৪৫) এবং সোহেল (৩৮)। এ ছাড়াও ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
ইয়ামিন নাহার অভিযোগ করেছেন, জমি বিরোধের জেরে বিবাদীরা তার স্বামীকে অপহরণ করে এবং মারধর করে হত্যা করেছে। তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।
পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
Leave a Reply