ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব নয় বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে, দেশে ক্ষমতার পালাবদল হলেও অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি।
সিপিডির সর্বশেষ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৭ শতাংশ, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৭ শতাংশের বেশি।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৪-২৫: সংকটময় সময়ে প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য তুলে ধরেন।
সিপিডির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, দেশে বিদেশি ঋণের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এর ফলে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপর বেশি নির্ভর করছে, যা ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সংস্থাটি মনে করে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিবেচনায় বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগী হতে হবে। এ ছাড়া, প্রতিযোগিতা আইন সংস্কার এবং প্রতিযোগিতা কমিশনকে আরও কার্যকর করার সুপারিশ করেছে সিপিডি।
সিপিডির তথ্য অনুযায়ী, ব্যালেন্স অব পেমেন্টে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। ইউরোপ ও মার্কিন বাজারে পোশাক রফতানির পরিমাণ বেড়েছে, যার ফলে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
গত চার বছরে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক বিদেশে গেছেন, যার বড় অংশ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। তবে এত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক বিদেশে গেলেও রেমিটেন্স প্রবাহে প্রত্যাশিত ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি বলে মনে করছে সিপিডি।
Leave a Reply