স্টাফ রিপোর্টার:
সমুদ্রসৈকতে এখন পর্যটকের ঢল। শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল ও মোটেলের কোথাও কোনো কক্ষ খালি নেই।
হোটেল মালিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সৈকতে এসেছিলেন অন্তত দুই লাখ পর্যটক, শুক্রবার আরও ১ লাখের উদ্ধে।
অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে টুরিস্ট ও ট্রাফিক পুলিশ। যানজট নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
অনেক পর্যটক হোটেলে কক্ষ না পেয়ে পরিবহন সংস্থার টিকিট কাউন্টার, হোটেলের রিসেপশন বা নিজের সঙ্গে আনা বাসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এ অবস্থায় কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার পর্যটকদের ছুটির আগে অনলাইনে অগ্রিম কক্ষ বুকিং দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে কোনো কক্ষ খালি নেই।
আজ শনিবার সকালে কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতজুড়ে মানুষের ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুগন্ধা পয়েন্টে এক কিলোমিটার লম্বা সৈকতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছেন।
শীত উপেক্ষা করে অনেকে সমুদ্রে স্নান করছেন। কেউ জেট স্কি নিয়ে গভীর সমুদ্র ভ্রমণ করছেন, কেউ বিচ বাইক বা ঘোড়ায় চড়ে সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়েছে। লাইফগার্ড কর্মীরা গোসল করতে নেমে স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
অগোছালো ভ্রমণের কারণে কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের হয়রানি এড়াতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে পরিকল্পিত ভ্রমণের পরামর্শ দিয়েছে।
Leave a Reply