ডেস্ক রিপোর্ট:
নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার তরুণ অকাতরে জীবন দিয়েছে। আমরা তাদের এই ত্যাগের স্বীকৃতি দিতে কখনো ভুলব না। তরুণ প্রজন্মের সেই আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।”
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) খুলনা সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের ৫৬ বছরপূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ আয়তনে ছোট হলেও এ কলেজ অনেক গুণী ও কৃতী ব্যক্তির জন্ম দিয়েছে। খুলনার উন্নয়নে এই কলেজের অবদান অসামান্য। তবে একটি পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এর অবকাঠামোর যথাযথ উন্নয়ন হয়নি। এ ক্ষেত্রে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
খুলনা শহরের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এক সময় মোংলা পোর্টের অফিস খুলনা শহরে ছিল। আমদানিকারক এবং শিপিং এজেন্টদের সুবিধার্থে মোংলা পোর্টের অফিসটি আবার খুলনায় ফিরিয়ে আনা উচিত। কারণ মোংলা পোর্ট খুলনার পোর্ট। এটিকে কার্যকর রাখতে এবং উন্নত করতে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে বন্দরটি আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তাহের মো. আনিছুর রহমান।
Leave a Reply