ডেস্ক রিপোর্ট:
রাত পোহালেই শুরু হবে বিপিএলের ১১তম আসর। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ৭টি দল ইতোমধ্যেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এর ব্যতিক্রম নয় ২০২৩ আসরের রানার্সআপ দল সিলেট স্ট্রাইকার্সও। তবে প্রস্তুতিতে দলের সঙ্গে এখনো যোগ দেননি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির গত দুই আসরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাকে ছাড়াই প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর পর তিনি দলে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান কোচ এ কে এম মাহমুদ ইমন জানিয়েছেন, মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট।
গত মৌসুমেও সিলেটের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। তবে সেই সময়টা তার জন্য ভালো যায়নি। কয়েকটি ম্যাচে মাঠে নামলেও তার পারফরম্যান্স ঘাটতি এবং ফিটনেসের অভাব স্পষ্ট ছিল। ঐ আসরে তিনি পাঁচটি ম্যাচ খেললেও ব্যর্থ হন এবং দলও কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। পরবর্তীতে নিজেকে টুর্নামেন্ট থেকে সরিয়ে নেন মাশরাফি। যদিও এ বছরের এপ্রিলে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তিনি মাঠে ফেরেন।
কিন্তু গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন মাশরাফি। তারপরও সিলেট স্ট্রাইকার্স তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে তাকে আদৌ খেলতে দেখা যাবে কি না।
শনিবার মিরপুর বিসিবির একাডেমি মাঠে সিলেটের অনুশীলন শেষে দলের হেড কোচ ইমন বলেন, ‘দলের অবস্থা ভালো। অনুশীলনে সবাই উপস্থিত ছিল, শুধু মাশরাফি ছাড়া। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে দুইজন এসেছেন, বাকিরা আসছেন।’
মাশরাফির দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কোয়াডে মাশরাফি এখনো আছেন। সবকিছু নির্ভর করছে তার পরিস্থিতির ওপর। তিনি কেমন অনুভব করছেন এবং ফিটনেসের অবস্থা কী, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তিনি খেলার মতো ফিট থাকেন, তবে অবশ্যই খেলবেন। আমরা তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’
মাশরাফির অনুপস্থিতির কারণ শুধুই ফিটনেসজনিত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইমন বলেন, ‘অনেক বিষয়ই রয়েছে, তবে মূলত ফিটনেসের কথাই বলা হচ্ছে। কারণ প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন মাশরাফি ফিট না হবেন, আমরা তাকে দলে বিবেচনা করব না। তবে তার জন্য অপেক্ষা করব। সে নিজে জানাবে কখন খেলতে প্রস্তুত। তবে সবকিছুরই নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেই সময় পেরিয়ে গেলে আমরা অন্য খেলোয়াড়ের কথা ভাবতে বাধ্য হব।’
Leave a Reply