ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজধানী সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে লেগে থাকা আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভবনের আট-নয় তলার বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আট ও নয় তলা। এসব তলায় থাকা নথিপত্র পুড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আগুনের খবর পায় তারা রাত ১টা ৫২ মিনিটে। ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। আগুন প্রায় ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগে আগুনের তীব্রতায় ছয়, সাত, আট, নয় তলা পুড়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ২০টি ইউনিট ও ২১১ ফায়ারকর্মী কাজ করেছে। তবে জায়গার সংকটের কারণে ১০ ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভবনের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল আরও জানান, আট ও নয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, পাশাপাশি বেশিরভাগ তলায় ক্ষতি হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, “আগুনের উৎস এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটি শর্ট সার্কিট থেকে ঘটতে পারে, তবে আমরা নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।”
Leave a Reply