দুঃসময় বলতে যা বোঝায়, সাকিব আল হাসান হয়তো এখন সেটি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। ক্যারিয়ারের সোনালী অধ্যায় পেরিয়ে গোধূলি বেলায় এসে তাকে শুনতে হচ্ছে বোলিংয়ে চাকিংয়ের অভিযোগ। এই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে তাকে পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে হয়েছে।
প্রায় দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপট দেখানো সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট। পাকিস্তান সিরিজের আগে সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছিলেন ৫ উইকেট। সেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও ম্যাচের আম্পায়াররা তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এই সন্দেহের কারণে, ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টি লিগে খেলতে হলে সাকিবকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সেই লক্ষ্যে তিনি সম্প্রতি বার্মিংহ্যামের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে বোলিং পরীক্ষা দিয়েছেন।
একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সাকিব এই পরীক্ষা দেন। সেখানে বিশেষজ্ঞদের সামনে তিনি চার ওভার বোলিং করেন। প্রথম তিন ওভারে তিনি জোরের সঙ্গে বোলিং করেন এবং শেষ ওভারে গতি কিছুটা কমিয়ে দেন।
তবে সাকিবের এই পরীক্ষার ফলাফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুনাম কুড়ানো সাকিব তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করেন, এই পরীক্ষায় তিনি ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হবেন এবং তার কাউন্টি লিগে খেলার আর কোনো বাধা থাকবে না।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া সাকিব এখন পর্যন্ত ৪৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৭১২টি উইকেট শিকার করেছেন। তিন ফরম্যাটেই দীর্ঘদিন আইসিসির শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে ছিলেন তিনি। তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আগে কখনো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু ক্যারিয়ারের এই পড়ন্ত সময়ে এসে এমন একটি বিতর্কের মুখোমুখি হতে হলো তাকে।
Leave a Reply